বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াড ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০৮:১৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে
অবশেষে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াড ঘোষিত হলো। আজকের (১২ জানুয়ারি) মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড জমা দিতে সময় বেধে দিয়েছিল আইসিসি। আজকের (১২ জানুয়ারি) মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড জমা দিতে সময় বেধে দিয়েছিল আইসিসি। আর তাই নির্ধারিত সময়ের শেষ দিন দুপুরেই মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। লিটনের বাদ পড়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন বাজে ফর্মের কথা। তাছাড়া লিটনের পাওয়ার প্লের অ্যাডভান্টেজ নিতে না পারা ও একইভাবে আউট হওয়ার কথা বলেছেন লিপু।বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলামও।
যথারীতি ৮ দলের এই প্রতিযোগিতায় টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্দা উঠবে ১৯ ফেব্রুয়ারি, যা চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট শুরু করবে।
এই স্কোয়াডে আছে দুই চমক। লিটন দাস আর শরিফুল ইসলামকে রাখা হয়নি এই স্কোয়াডে।
তামিম ইকবাল নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন এক দিন আগেই। সাকিব আল হাসানকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য বড় বাধার মুখে পড়তে হয়। শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে খেলানোর পথে হাঁটেনি বিসিবি। বিষয়গুলো আগেই জানা ছিল, তাই চমক হিসেবে আসেনি এগুলো।
চমকে হয়ে এসেছে লিটন দাস আর শরিফুল ইসলামের বাদ পড়াটা। শেষ এক বছর ধরে লিটন দাসের ব্যাট হাসেনি তেমন। সাদা বলের ক্রিকেটে তার ফিফটি মোটে একটা। সেই ফিফটি নিয়েও আছে বেশ সমালোচনা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেদিন ইনিংসের আদ্যন্ত ব্যাট করলেও দল জেতেনি, ম্যাচটা হেরে সেমিফাইনালের আশাও শেষ হয়ে যায়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। সেই ফরম্যাটে আরও বিবর্ণ লিটন। ৫ ইনিংস ব্যাট করে করেছেন মোটে ৬ রান। বিপিএলেও খারাপ ফর্ম যাচ্ছিল তার। সবশেষ ম্যাচে যদিও ৭৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় রান এনে দিয়েছিলেন। তবে তার আগে টানা তিন ইনিংসে তিনি আউট হয়েছেন এক অঙ্কে।
এমন ফর্মের কারণে তার ওপর ভরসা রাখেননি নির্বাচকরা। তার বিদায়ের ফলে স্কোয়াডে সুযোগ পেলেন অনভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন। জাতীয় দলের হয়ে ৭ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেললেও তিনি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি একটাও। তবে এরপরও লিটনের জায়গায় তাকেই বিবেচনায় রেখেছেন নির্বাচকরা।
এদিকে শরিফুল ইসলামও একই কারণে বাদ পড়েছেন। শেষ এক বছরে সাদা বলে তার গড় ৪০ এরও বেশি। এ সময়ে পেস ইউনিট আলো ছড়ালেও তিনি ছিলেন বিবর্ণ। সে কারণে তাকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। তার জায়গায় দলে ঢুকেছেন নাহিদ রানা। এছাড়া হাসান মাহমুদেরও জায়গা হয়নি এই স্কোয়াডে।
সব মিলিয়ে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ স্কোয়াডে ৪ পেসার ও ৩ স্পিনার আছেন। পেসার ৪ জন হলেন– তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব। মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে স্কোয়াডে আছেন আরও দুই স্পিনার– নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশের স্কোয়াড–
তানজীদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, পারভেজ হোসেন ইমন, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা এবং তাসকিন আহমেদ।