ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বৈরাচারের দোসর আসামীদের অবাধ বিচরণের অভিযোগ

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতার মধুপুর থানা ঘেরাও করার হুমকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

জুলাই – আগস্টের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আক্রমণ ও হামলাকারী এবং স্বৈরাচারের দোসর মামলার আসামীদের অবাধ বিচরণের অভিযোগ তুলে অবিলম্ব তাদের গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ তাদের গ্রেফতারে তৎপর না হলে থানা ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার নেতা সবুজ মিয়া। তার ফেইসবুক পেইজে মঙ্গলবার রাতে একটি পোস্টের মাধ্যমে এমন ঘোষণা এসেছে । এ পোস্টে নানা মন্তব্য দিয়েছেন অনেকে। তবে পুলিশ আসামী আটকে তৎপর দাবি করে আসামিদের অবস্থান জানানো হলে গ্রেফতার অভিযানে তারা আরো সফল হবে বলে জানিয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার প্রতিনিধি সদস্য সবুজ মিয়া তার ফেইসবুক পেইজের পোস্ট লিখেছেন “মধুপুরে এখনো স্বৈরাচারের দোসর এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালিকাভুক্ত অনেক আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী বাদ দিয়ে এদিক সেদিক থেকে কিছু আ’লীগ কে ধরে জেল হাজতে পাঠালেই হবে না। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে যদি আসামীদের গ্রেফতার বা গ্রেফতারের কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়া হয়, আর যদি কোন আসামীকে প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখা যায় আমি আমার ২৪ এর বীর যোদ্ধাদের নিয়ে মধুপুর থানা ঘেরাও করব।”
শেষে তিনি বলেছেন, “স্বৈরাচারের দোসরদের কোন ক্ষমা নাই। ইটস লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।”
“ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগানে তিনি তার পোস্টের সমাপ্তি করেছেন।

তার এ পোস্টে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকে। আলকামা সিকদার নামের গণমাধ্যমকর্মী লিখেছেন, এরা মনে হয় আবার সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে। সজাগ থাকতে হবে ২৪ এর যোদ্ধাদের।”

এমডি আশিক নামের একজন বলেছেন,”যারা দা কুরাল নিয়ে ঘুরছে, তারাই আজ প্রকাশ্যে ঘুরা ফিরা করতেছে, প্রশাসন কিছু বলছে ও না করছে ও না।”

ওবাইদুল্লাহ অভি নামের একজন বলেছেন, “সব টাকার খেলা ভাই। নব্য স্বৈরাচাররা টাকার বিনিময়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের শেল্টার দিচ্ছে। এটাই বাস্তব!”

মো. নুর আলম খান বলেছেন, “যদিও এটি যৌক্তিক কিন্তু প্রশাসন কোথায় যে দূর্বল সেটা বুঝি না”।

মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান, অভিযোগ ঠিক নয়। আসামিদের অবস্থান জানানো হলে গ্রেফতার অভিযানে তারা আরো সফল হবে বলে জানিয়েছেন।
আসামীদের অবাধে বিচরণের সুযোগ নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

স্বৈরাচারের দোসর আসামীদের অবাধ বিচরণের অভিযোগ

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতার মধুপুর থানা ঘেরাও করার হুমকি

আপডেট সময় : ০৭:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

জুলাই – আগস্টের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আক্রমণ ও হামলাকারী এবং স্বৈরাচারের দোসর মামলার আসামীদের অবাধ বিচরণের অভিযোগ তুলে অবিলম্ব তাদের গ্রেফতারের দাবি করা হয়েছে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ তাদের গ্রেফতারে তৎপর না হলে থানা ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার নেতা সবুজ মিয়া। তার ফেইসবুক পেইজে মঙ্গলবার রাতে একটি পোস্টের মাধ্যমে এমন ঘোষণা এসেছে । এ পোস্টে নানা মন্তব্য দিয়েছেন অনেকে। তবে পুলিশ আসামী আটকে তৎপর দাবি করে আসামিদের অবস্থান জানানো হলে গ্রেফতার অভিযানে তারা আরো সফল হবে বলে জানিয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার প্রতিনিধি সদস্য সবুজ মিয়া তার ফেইসবুক পেইজের পোস্ট লিখেছেন “মধুপুরে এখনো স্বৈরাচারের দোসর এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালিকাভুক্ত অনেক আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী বাদ দিয়ে এদিক সেদিক থেকে কিছু আ’লীগ কে ধরে জেল হাজতে পাঠালেই হবে না। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে যদি আসামীদের গ্রেফতার বা গ্রেফতারের কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেয়া হয়, আর যদি কোন আসামীকে প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখা যায় আমি আমার ২৪ এর বীর যোদ্ধাদের নিয়ে মধুপুর থানা ঘেরাও করব।”
শেষে তিনি বলেছেন, “স্বৈরাচারের দোসরদের কোন ক্ষমা নাই। ইটস লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।”
“ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগানে তিনি তার পোস্টের সমাপ্তি করেছেন।

তার এ পোস্টে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকে। আলকামা সিকদার নামের গণমাধ্যমকর্মী লিখেছেন, এরা মনে হয় আবার সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে। সজাগ থাকতে হবে ২৪ এর যোদ্ধাদের।”

এমডি আশিক নামের একজন বলেছেন,”যারা দা কুরাল নিয়ে ঘুরছে, তারাই আজ প্রকাশ্যে ঘুরা ফিরা করতেছে, প্রশাসন কিছু বলছে ও না করছে ও না।”

ওবাইদুল্লাহ অভি নামের একজন বলেছেন, “সব টাকার খেলা ভাই। নব্য স্বৈরাচাররা টাকার বিনিময়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের শেল্টার দিচ্ছে। এটাই বাস্তব!”

মো. নুর আলম খান বলেছেন, “যদিও এটি যৌক্তিক কিন্তু প্রশাসন কোথায় যে দূর্বল সেটা বুঝি না”।

মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান, অভিযোগ ঠিক নয়। আসামিদের অবস্থান জানানো হলে গ্রেফতার অভিযানে তারা আরো সফল হবে বলে জানিয়েছেন।
আসামীদের অবাধে বিচরণের সুযোগ নেই।