ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজকের নামাজের সময়সূচি – ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক রিপোর্ট, শালবন বার্তা ২৪
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাত দান করবেন। যারা নামাজের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজের জন্য অপেক্ষা করেন, আল্লাহ তাঁদের জন্য বিশেষ রহমত পাঠান। এমন মানুষদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন এবং তাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি ও শান্তির জন্য বরকত কামনা করেন। সময়মতো নামাজ আদায় করা এক ধরনের ইবাদত, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

তাহাজ্জুদ নামাজ
__________________
তাহাজ্জুদ নামাজের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। অন্যান্য নামাজের যেভাফে আদায় করবেন তাহাজ্জুদ নামাজ ও সেভাবে আদায় করবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ সর্বোচ্চ ১২/৮ রাকআত এবং সর্বনিম্ন দুই রাকআত।
আর এর উপযুক্ত সময় রাত দুইটা থেকে ফজরের আগ অব্ধি।
রাতের এই সময়ে (মহান উল্লাহ তা’আলা) সর্বশেষ আসমানে নেমে আসেন আর এই সময় খাস দিলে কিছু চাইলে আল্লাহ পাক তার বান্দা/বান্দিদের ফিরিয়ে দেন না। (সুবহান আল্লাহ)
তবে অধৈর্য্য হলে চলবে না। কেনো দোআ কবুল হচ্ছে না এমন টা মনোভাব করলে ও চলবে না।
অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা ধৈর্য্যশীলদের পছন্দ করেন।

নিয়মঃ

১. প্রথমে ওযু করবেন।
২. নিয়ত মুখে করতে হয়না (মুখে নিয়ত করা বেদআত)। আপনি তাহাজ্জুদের জন্য মাঝ রাতে উঠে ওযু করে জায়-নামাজে দাড়িয়েছেন এটাই আপনার নিয়ত।
৩. আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করবেন।
৪. সানা পড়বেন, সূরা ফাতিহা পড়বেন তারপর অন্য একটি সূরা মেলাবেন।
(নবী রাসূল সঃ তাহাজ্জুদ নামজ পড়ার সময় সবসময় বড় বড় সূরা পড়েছেন তাই বড় সূরা পড়া উত্তম) তবে বড় সূরা না পাড়লে ছোট্ট সূরা পড়তে হবে।
৫. তারপর রকুতে যাবেন।
৬. রুকু থেকে উঠে সিজদায় যাবেন।
.
অন্যান্য নামাজের সাথে তাহাজ্জুদ নামাজের পার্থক্য হলো তাহাজ্জুদ নামাজে দীর্ঘ সময় নিয়ে রুকু সিজদাহ দেওয়া যায়।
প্রতমত, সিজদাহ তাসবী পাঠ করবেন। তারপর সিজদায় আল্লাহর কাছের নিজের মনের কথা বলা, দোআ করা ও ইস্তেগফার (ক্ষমাপ্রার্থনার দোআ) পাঠ করা যায়।
সিজদায় পড়ার দোআঃ “আল্লাহুম্মা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখেরাতে হাসানাতাও ওয়াক্কিনা আযাবান্নার”
অর্থঃ হে আল্লাহ!
আমাকে তুমি দুনিয়াতে সফলতা দান করো, আখেরাতে সফলতা দান করো, জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।
.
দুনিয়াবী যত কথা আছে, যত ইচ্ছে আছে, যত স্বপ্ন আছে আছে সব কিছু বলা যায় এই সিজদায়।
আর সিজদায় করা দোআ আল্লাহ তা’আলা কখনও ফিরিয়ে দিবেন না।
নামাজ শেষে দু’হাত তুলে আল্লাহর দরবারে কান্না-কাটি করুন দোআ করুন ইন শা আল্লাহ।

তাহাজ্জুদের নামাজ রাত ১২টা থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যন্ত পড়া যায় তবে মধ্যরাতে / রাতের শেষ তৃতীয়াংশ পড়া অধিক উত্তম।

বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ/বিয়োগ করতে হবে।

বিয়োগ

চট্টগ্রাম: ৫ মিনিট
সিলেট: ৬ মিনিট

যোগ

খুলনা: ৩ মিনিট
রাজশাহী: ৭ মিনিট
রংপুর: ৮ মিনিট
বরিশাল: ১ মিনিট

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আজকের নামাজের সময়সূচি – ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট সময় : ০৮:০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাত দান করবেন। যারা নামাজের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজের জন্য অপেক্ষা করেন, আল্লাহ তাঁদের জন্য বিশেষ রহমত পাঠান। এমন মানুষদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন এবং তাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি ও শান্তির জন্য বরকত কামনা করেন। সময়মতো নামাজ আদায় করা এক ধরনের ইবাদত, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

তাহাজ্জুদ নামাজ
__________________
তাহাজ্জুদ নামাজের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। অন্যান্য নামাজের যেভাফে আদায় করবেন তাহাজ্জুদ নামাজ ও সেভাবে আদায় করবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ সর্বোচ্চ ১২/৮ রাকআত এবং সর্বনিম্ন দুই রাকআত।
আর এর উপযুক্ত সময় রাত দুইটা থেকে ফজরের আগ অব্ধি।
রাতের এই সময়ে (মহান উল্লাহ তা’আলা) সর্বশেষ আসমানে নেমে আসেন আর এই সময় খাস দিলে কিছু চাইলে আল্লাহ পাক তার বান্দা/বান্দিদের ফিরিয়ে দেন না। (সুবহান আল্লাহ)
তবে অধৈর্য্য হলে চলবে না। কেনো দোআ কবুল হচ্ছে না এমন টা মনোভাব করলে ও চলবে না।
অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা ধৈর্য্যশীলদের পছন্দ করেন।

নিয়মঃ

১. প্রথমে ওযু করবেন।
২. নিয়ত মুখে করতে হয়না (মুখে নিয়ত করা বেদআত)। আপনি তাহাজ্জুদের জন্য মাঝ রাতে উঠে ওযু করে জায়-নামাজে দাড়িয়েছেন এটাই আপনার নিয়ত।
৩. আল্লাহু আকবর বলে নামাজ শুরু করবেন।
৪. সানা পড়বেন, সূরা ফাতিহা পড়বেন তারপর অন্য একটি সূরা মেলাবেন।
(নবী রাসূল সঃ তাহাজ্জুদ নামজ পড়ার সময় সবসময় বড় বড় সূরা পড়েছেন তাই বড় সূরা পড়া উত্তম) তবে বড় সূরা না পাড়লে ছোট্ট সূরা পড়তে হবে।
৫. তারপর রকুতে যাবেন।
৬. রুকু থেকে উঠে সিজদায় যাবেন।
.
অন্যান্য নামাজের সাথে তাহাজ্জুদ নামাজের পার্থক্য হলো তাহাজ্জুদ নামাজে দীর্ঘ সময় নিয়ে রুকু সিজদাহ দেওয়া যায়।
প্রতমত, সিজদাহ তাসবী পাঠ করবেন। তারপর সিজদায় আল্লাহর কাছের নিজের মনের কথা বলা, দোআ করা ও ইস্তেগফার (ক্ষমাপ্রার্থনার দোআ) পাঠ করা যায়।
সিজদায় পড়ার দোআঃ “আল্লাহুম্মা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখেরাতে হাসানাতাও ওয়াক্কিনা আযাবান্নার”
অর্থঃ হে আল্লাহ!
আমাকে তুমি দুনিয়াতে সফলতা দান করো, আখেরাতে সফলতা দান করো, জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।
.
দুনিয়াবী যত কথা আছে, যত ইচ্ছে আছে, যত স্বপ্ন আছে আছে সব কিছু বলা যায় এই সিজদায়।
আর সিজদায় করা দোআ আল্লাহ তা’আলা কখনও ফিরিয়ে দিবেন না।
নামাজ শেষে দু’হাত তুলে আল্লাহর দরবারে কান্না-কাটি করুন দোআ করুন ইন শা আল্লাহ।

তাহাজ্জুদের নামাজ রাত ১২টা থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যন্ত পড়া যায় তবে মধ্যরাতে / রাতের শেষ তৃতীয়াংশ পড়া অধিক উত্তম।

বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ/বিয়োগ করতে হবে।

বিয়োগ

চট্টগ্রাম: ৫ মিনিট
সিলেট: ৬ মিনিট

যোগ

খুলনা: ৩ মিনিট
রাজশাহী: ৭ মিনিট
রংপুর: ৮ মিনিট
বরিশাল: ১ মিনিট

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন