ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একুশে পদক পেলেন অভ্র’র মেহেদী হাসান খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শালবনবার্তা২৪.কম
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৬৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা ভাষায় কম্পিউটারে লেখার জন্য প্রথম কিবোর্ড নয় অভ্র। বাংলায় যতো বই ছাপা হয়, সেখানেও জনপ্রিয় কিবোর্ড লেআউট অভ্র নয়, বিজয়। তবে, গত দুই দশকে অনলাইনে যতো বাংলা বাক্য লিখেছেন বাংলাভাষী লোকজন, সেখানে অভ্র অপ্রতিরোধ্য।

সম্ভবত তরুণ প্রজন্মকে ইউনিকোড বাংলায় লিখতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী করে তুলেছে অভ্র ইনপুট সিস্টেম ও লেআউট। এবার সেই কিবোর্ডের রূপকার মেহেদী হাসান খান পেলেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। বাংলাদেশ সরকার এ বছর তাকে একুশে পদকে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় মেহেদী এ কিবোর্ড ডেভেলপ করেন। সে সময় পর্যন্ত কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য কোনো বিনামূল্যের বাংলা কিবোর্ড ছিল না। ফলে, ২০০৩ সালের বিজয় দিবসে উন্মুক্ত এ কিবোর্ডের স্লোগান হয়ে ওঠে ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’।

আসকি ও ইউনিকোড উভয় পদ্ধতিতে ব্যবহারযোগ্য এ ডিজিটাল লেখন পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ হিসাবে ছিল এর কিবোর্ডের ধরন। ইংরেজি অক্ষরে বাংলা ভাষায় টাইপ করলে এটি বাংলা অক্ষরে লেখা তৈরি করে। এ সুবিধাই মূলত বাংলা ভাষাভাষী তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটারে ও অনলাইনে বাংলা লেখায় ব্যপকমাত্রায় আগ্রহী করে তোলে।

এর আগে জনপ্রিয় ছিল মোস্তাফা জব্বারের তৈরি বিজয় লেআউট। প্রথমে আসকি হিসাবে এটি এলেও পরে এতে ইউনিকোডও যুক্ত হয়।

বাংলা ভাষায় প্রথম জনপ্রিয় কিবোর্ড ছিল মুনীর কিবোর্ড। টাইপ রাইটারের জন্য বাংলা এ লেআউট ডেভেলপ করেছিলেন মুনীর চৌধুরী। জার্মানির তৈরি অপটিমা টাইপরাইটারের বাংলা সংস্করণটি পরিচিত ছিল অপটিমা মুনীর নামে। ১৯৬৫ সালে এ কিবোর্ড উদ্ভাবন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনীর চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তাকে তুলে নিয়ে যায় আল বদর।

কম্পিউটারের জন্য বাংলায় প্রথম বাণিজ্যিক লেআউট তৈরি হয় ১৯৮৪ সালে। যন্ত্রকৌশলী সাইফুদ্দাহার শহীদ ম্যাকিনটশ কম্পিউটারের জন্য এই ‘শহীদলিপি’ লেআউট তৈরি করেছিলেন।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

একুশে পদক পেলেন অভ্র’র মেহেদী হাসান খান

আপডেট সময় : ১০:২৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলা ভাষায় কম্পিউটারে লেখার জন্য প্রথম কিবোর্ড নয় অভ্র। বাংলায় যতো বই ছাপা হয়, সেখানেও জনপ্রিয় কিবোর্ড লেআউট অভ্র নয়, বিজয়। তবে, গত দুই দশকে অনলাইনে যতো বাংলা বাক্য লিখেছেন বাংলাভাষী লোকজন, সেখানে অভ্র অপ্রতিরোধ্য।

সম্ভবত তরুণ প্রজন্মকে ইউনিকোড বাংলায় লিখতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী করে তুলেছে অভ্র ইনপুট সিস্টেম ও লেআউট। এবার সেই কিবোর্ডের রূপকার মেহেদী হাসান খান পেলেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। বাংলাদেশ সরকার এ বছর তাকে একুশে পদকে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় মেহেদী এ কিবোর্ড ডেভেলপ করেন। সে সময় পর্যন্ত কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য কোনো বিনামূল্যের বাংলা কিবোর্ড ছিল না। ফলে, ২০০৩ সালের বিজয় দিবসে উন্মুক্ত এ কিবোর্ডের স্লোগান হয়ে ওঠে ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’।

আসকি ও ইউনিকোড উভয় পদ্ধতিতে ব্যবহারযোগ্য এ ডিজিটাল লেখন পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ হিসাবে ছিল এর কিবোর্ডের ধরন। ইংরেজি অক্ষরে বাংলা ভাষায় টাইপ করলে এটি বাংলা অক্ষরে লেখা তৈরি করে। এ সুবিধাই মূলত বাংলা ভাষাভাষী তরুণ প্রজন্মকে কম্পিউটারে ও অনলাইনে বাংলা লেখায় ব্যপকমাত্রায় আগ্রহী করে তোলে।

এর আগে জনপ্রিয় ছিল মোস্তাফা জব্বারের তৈরি বিজয় লেআউট। প্রথমে আসকি হিসাবে এটি এলেও পরে এতে ইউনিকোডও যুক্ত হয়।

বাংলা ভাষায় প্রথম জনপ্রিয় কিবোর্ড ছিল মুনীর কিবোর্ড। টাইপ রাইটারের জন্য বাংলা এ লেআউট ডেভেলপ করেছিলেন মুনীর চৌধুরী। জার্মানির তৈরি অপটিমা টাইপরাইটারের বাংলা সংস্করণটি পরিচিত ছিল অপটিমা মুনীর নামে। ১৯৬৫ সালে এ কিবোর্ড উদ্ভাবন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনীর চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তাকে তুলে নিয়ে যায় আল বদর।

কম্পিউটারের জন্য বাংলায় প্রথম বাণিজ্যিক লেআউট তৈরি হয় ১৯৮৪ সালে। যন্ত্রকৌশলী সাইফুদ্দাহার শহীদ ম্যাকিনটশ কম্পিউটারের জন্য এই ‘শহীদলিপি’ লেআউট তৈরি করেছিলেন।

 

শালবনবার্তা২৪.কম/এআর